শুধু কর সুবিধা দিয়ে শেয়ারবাজরের সবকিছু ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি হুমায়ূন কবির। আইসিএবি আয়োজিত গতকাল প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হুমায়ূন কবির বলেন, ‘কর কাঠামোর কারণে শেয়ারবাজারের এ পরিস্থিতি হয়নি। শেয়ারবাজার চাঙ্গা হওয়া নির্ভর করে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বা মৌলভিত্তির ওপর।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেয়ারবাজারে কর সুবিধা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যা ঠেকানো গেছে? ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করা বন্ধ করা গেছে? আমরা শুধু কর সুবিধা দিয়ে শেয়ারবাজারের সবকিছু ঠিক করতে চাই।’ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দিক থেকে দেশের মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি, যা উচ্চ মূল্যস্ফীতির ইঙ্গিত। মোট বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতির কারণ হতে পারে।’
এ সময় তিনি ঘোষিত বাজেটকে সময়োপযোগী ও বাস্তবায়নযোগ্য বলে সরকারের প্রশংসা করেন।
করপোরেট করহার হ্রাস ও উৎসে কর কর্তনসহ (টিডিএস) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর সংস্কার ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি। এছাড়া রাষ্ট্রপতির আদেশে বা সংসদীয় আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং একই আইনের বিধিবিধান অনুসারে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যারা শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নিয়োজিত, ওইসব পেশাদার ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সপ্তম তফসিলের অধীনে একই কর কাঠামোর আওতায় আনার প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিএবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এমবিএম লুৎফুল হাদী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু, সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান ও স্নেহাশীষ বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।