দীর্ঘদিন ধরে চলছে দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন। সর্বশেষ ৯ কর্মদিবসের পতনের তান্ডবে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৩৪৬ পয়েন্ট পতন হয়। এরপর গতকাল সোমবার শেয়ারবাজার উত্থানে ফিরে। কিন্তু সেই উত্থান একদিনের বেশি স্থায়ী হলো না। আজ আবারও আগের চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে উভয় শেয়ারবাজার।
গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেয়ারবাজারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ারাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তাঁদের কাছে তিনি শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক পতনের কারণ জানতে চান। এরপর শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে মোটামুটি বড় উত্থানই দেখা যায়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক বৃদ্ধি পায় প্রায় ৬০ পয়েন্ট। কিন্তু একদিন পরই সেই উত্থান উধাও হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার লেনদেনের প্রথম ভাগে উভয় বাজারে চাঙ্গাভাব দেখা গেলেও শেষ বেলায় উভয় বাজার ফের পতনের দিকে টার্ন নেয়। আজ ডিএসইর সূচকের পতন হয়েছে প্রায় ৩২ পয়েন্ট।
মঙ্গলবারের বাজার পর্যালোচনা
আজ সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস মঙ্গলবার (২৮ মে) ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১.৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৭.৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৮৬ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৪৪০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫০৬ কোটি ১১ লাখ টাকার।
আজ ডিএসইতে ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ২৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএই) আজ লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
এদিন সিএসইতে ২৪৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এরমধ্যে দাম বেড়েছিল ১০০টির, কমেছিল ১১৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।