সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) প্রকল্পের বৈধ ব্যাচের উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এপিআই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এ প্রকল্পের উৎপাদন শুরু করবে ওষুধ কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে গতকাল এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৫৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ টাকা ৯৮ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা ৩২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে ৩৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১০ টাকা ৮৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ৯৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকা ৯ পয়সায়।
কোম্পানিটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য গুণগত ও পরিমাণগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএলএল)।
সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এরই মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠিয়েছে দি একমি ল্যাবরেটরিজ। সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৭ টাকা ৪২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। সমাপ্ত ২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্যও শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৮-১৯ সালের ৩০ জুন হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় একমি ল্যাবরেটরিজ। আগের তিন হিসাব বছরেও একই হারে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমি ল্যাবরেটরিজের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ২১১ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৬০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২১ কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৭০০। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক, ৩১ দশমিক ১২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ১৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৬৫ টাকা ৭০ ও ৮৮ টাকা ৬০ পয়সা।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে একমি ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের মূল্য-আয় (পিই) অনুপাত ৬ দশমিক ২, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ৫ দশমিক ৮৬।
