সোনার অলংকার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৬ শতাংশ মজুরি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের ময়মনসিং জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ভারত, শ্রীলংকা চীন, ইতালিসহ বিশ্বের অনেক দেশে সোনার অলংকার বিক্রিতে ৬ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি নির্ধারণ করা হয়। অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও নূন্যতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সোনার অলংকার বিক্র্যের সময় সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ হারে ভ্যাটগ্রহন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানায়। তাই এই মজুরি ও ভ্যাট প্রদানের জন্য ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
ডা. দিলীপ কুমার রায় আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের স্মার্ট জুয়েলারি শিল্পের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বাজুসের সহসভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বাজুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে জুয়েলারি শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে।
বাজুস এখন একটা ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বাজুস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে বাজুস এগিয়ে যাবে বহুদূর।
বাজুস ময়নসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এম এ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ ঘোষ ও মো. শামছুল হক ভূঁইয়াসহ প্রমূখ।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাজুসের ধারাবাহিক সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনাতেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বাজুসের সদস্য হয়ে অসাধু উপায়ে জুয়েলারি ব্যবসা করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসা করতে হলে মানতে হবে বাজুসের নিয়ম কানুন। বাজুসের বেধে দেয়া মূল্যের বাইরে গিয়ে বিক্রি করতে পারবে না সোনা।