শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেডের চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফা বেড়েছে ৭১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আলোচ্য প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২৪ পয়সায়। ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ব্যাংকটি। আলোচ্য হিসাব বছরে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকায়, আগের হিসাব বছরের একই সময় শেষে যা ছিল ২২ টাকা ২ পয়সায়।
সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ৭২ পয়সায়।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২১ টাকা ৭২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২১ টাকা ১৩ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
এর আগে ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। এছাড়া ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।
২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৪৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৭৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
