শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২১টি কোম্পানি ৩১ মার্চ‘২৪ পর্যন্ত সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী সর্বশেষ অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৯টি কোম্পানির। একই সময়ে আয় কমেছে ৮টির এবং লোকসানে রয়েছে ৪টি কোম্পানির। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আয় বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- যমুনা অয়েল, এমজেএল বাংলাদেশ, সামিট পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, পদ্মা অয়েল, পাওয়ার গ্রিড এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
যমুনা অয়েল
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ টাকা ৫৪ পয়সা।
অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির ২৬ টাকা ৬০ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ২০ টাকা ৮১ পয়সা আয় হয়েছিল।
এমজেএল বাংলাদেশ
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ৬ টাকা ৫৫ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ৫ টাকা ৪৬ পয়সা আয় হয়েছিল।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) মিলিয়ে কোম্পানিটির ২ টাকা ৪০ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ২ টাকা ৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
শাহজিবাজার পাওয়ার
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ৩৯ পয়সা আয় হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৭৭ পয়সা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে ৪৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন
সমাপ্ত সময়ের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ২৮ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) কোম্পানিটির ১৩ টাকা ২২ পয়সা আয় হয়েছে। গতবছর একই সময়ে ১৪ টাকা ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে তিন প্রান্তিক মিলিয়ে বা ৯ মাসে (জুলাই ২৩-মার্চ ২৪) কোম্পানিটির ২ টাকা ২১ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে যা ৬০ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
পদ্মা অয়েল
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৬ টাকা ২৭ পয়সা।
অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২২ টাকা ৪০ পয়সা।
পাওয়ার গ্রিড
তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৫৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে ৩ টাকা ৬৩ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৭৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৯১পয়সা।
অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই’২৩-মার্চ’২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৪ টাকা ৯৫ পয়সা।