যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন প্রথম শুরু হয় কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে। আন্দোলনের শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব দেখিয়ে আসছে। এবার শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রবেশ করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশের একটি দল।
বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা একটি হল দখল করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয় কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কয়েক ডজন হেলমেটধারী পুলিশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
পুলিশ একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে মইয়ের মাধ্যমে ‘হ্যামিল্টন’ হলে প্রবেশ করে। পরে তারা বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করেন। পরে আটকৃতদের পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
ল্যাডারের মাধ্যমে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে নিউ ইয়র্ক পুলিশের সদস্যরা/ ছবি: এএফপিল্যাডারের মাধ্যমে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের সদস্যরা/ ছবি: এএফপি
শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র ‘কলাম্বিয়া ডেইলি স্পেকটেটর’ জানিয়েছে, হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতে হলটি থেকে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এএফপি জানায়, মঙ্গলবার ভোরে হলটি দখল করেন বিক্ষোভকারীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের এই আন্দোলন। আর তারা যে কোনো উচ্ছেদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে পাঠানো একটি চিঠিতে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট মিনোচে শফিক বলেন, হলের দখল নেওয়ার নেতৃত্বে যারা রয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। সেই সঙ্গে তিনি হ্যামিল্টন হলসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিউ ইয়র্ক পুলিশের সাহায্য চেয়েছিলেন।
জানা গেছে, মিনোচে শফিক পুলিশকে কমপক্ষে ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাছাড়া বিক্ষোভ যাতে পুনরায় জেগে না ওঠে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ করেন।
সূত্র: এএফপি, কলাম্বিয়া ডেইলি স্পেকটেটর