বিদায়ী সপ্তাহে (২১-২৫ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ১৩ খাতে। একই সময়ে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে ৭ খাতে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এই খাতে সপ্তাহজুড়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৫২ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২০৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বা ২৩.৬৫ শতাংশ বেশি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে মোট ৩৮৯ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮০ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১৪.১১ শতাংশ বেশি।
তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে প্রকৌশল খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ২৮৮ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ১০ শতাংশ বেশি।
চতুর্থ সর্বোচ্চ লেনদেন বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। সপ্তাহজুড়ে এ খাতে লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৫ কোটি ৫ লাখ টাকা বা ৪.৫৩ শতাংশ বেশি।
অন্য ১০ খাতের মধ্যে-
টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ২.১৭ শতাংশ বেশি।
সিমেন্ট খাতে ৪৫ কোটি ৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ১.৬৩ শতাংশ বেশি।
বিবিধ খাতে ৪১ কোটি ৮২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ১.৫২ শতাংশ বেশি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৪৯ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বা ১.৭৯ শতাংশ বেশি।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১০২ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৩.৭০ শতাংশ বেশি।
কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ০.৯২ শতাংশ বেশি।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১১৩ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বা ১.৫০ শতাংশ বেশি।
সেবা ও আবাসন খাতে ২০ কোটি ১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৯ লাখ টাকা বা ৩.০৫ শতাংশ বেশি।
করপোরেট বন্ড খাতে ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৮.৯৩ শতাংশ বেশি।