করপোরেট প্রধান কার্যালয় নির্মাণের জন্য রাজধানী ঢাকার বেরাইদে তিন বিঘা (৬০ কাঠা) জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি)। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় জমি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুসারে, ভ্যাট, ট্যাক্স ও রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত খরচ বাদে এ জমি ক্রয়ে ব্যয় হবে ১০৮ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
তথ্য অনুসারে, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে এমটিবির পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য হিসাব বছরে এমটিবির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। সে হিসাবে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস বেড়েছে ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমটিবির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৬। এর মধ্যে ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। গত এক বছরে এমটিবির শেয়ারের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা ও ১৭ টাকা।
২০২২ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষণা করেছিল এমটিবি পর্ষদ। তার আগে সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। ২০২০ হিসাব বছরেও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। এর আগের হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে এমটিবি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় এমটিবি। তার আগে ২০১৬ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ এবং ২০১৫ ও ২০১৪ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।