পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার সম্মতি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত সার্কুলার অনুসারে লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩৭ পয়সা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩৫ পয়সায় (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সায়।
২০২২ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৮১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ২০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে ৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্যাংকটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ হারে স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৩ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১৫০ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১ হাজার ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৫ কোটি ৬ লাখ ৮ হাজার ৯৩৪। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৩০ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ব্যাংকটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৮ টাকা ৯০ পয়সা ও ৯ টাকা ৮০ পয়সা।