ওষুধ ও রসায়ন খাতের তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ পিএলসি চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৩২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আয় করেছে। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। আয়ের পাশাপাশি এ সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও সামান্য কমেছে। রেকিট বেনকিজারের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে রেকিট বেনকিজারের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ টাকা ১০ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩২ টাকা ১৮ পয়সা। এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৮৪ টাকা ৭৯ পয়সায়।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের ইপিএস হয়েছে ১৭৩ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। সে হিসাবে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরে হয়েছিল ১৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৮ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৯৮০ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রেকিট বেনকিজার। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৭১ টাকা ৩ পয়সা। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৭৬ টাকা ৮০ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২০০ টাকা ৬৫ পয়সায়। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
১৯৮৭ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ পিএলসির অনুমোদিত মূলধন ২৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৮ কোটি ৩ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৪৭ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে মূল কোম্পানি যুক্তরাজ্যভিত্তিক রেকিট বেনকিজার পিএলসির কাছে। এছাড়া সরকারের কাছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত বৃহস্পতিবার রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪ হাজার ৬৯২ টাকা ১০ পয়সা।
গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩ হাজার ৭৯৯ টাকা থেকে ৫ হাজার ২৭১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।