পুষ্টিতে ভরপুর এক সবজির নাম ঢ্যাঁড়স। দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর ঢ্যাঁড়সে আছে প্রচুর ভিটামিন সি ও কে। দ্রবণীয় আঁশ (ফাইবার) থাকায় খাদ্য পরিপাকেও বড় ভূমিকা রাখে ঢ্যাঁড়স। ফাইবারে ঠাসা ঢ্যাঁড়স শুধু তরকারি হিসেবে নয়, পানীয় হিসেবেও বেশ উপকারী।
হজমে সাহায্য করে
ঢ্যাঁড়স পানি হজমের জন্য বেশ উপকারী। ঢ্যাঁড়সে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়সকে যখন পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়, তখন মুসিলেজ নামে একধরনের জেলিজাতীয় পদার্থ বের হয়, যা প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে মলত্যাগে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
ঢ্যাঁড়সে প্রচুর পলিফেনলস আর ফ্লেভোনোয়েড থাকে, যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়সে থাকা দ্রবণীয় আঁশ পানির সঙ্গে মিলে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে ঢ্যাঁড়স পানি। এ ছাড়া খাবারের পর হুট করে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে না।
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে
ঢ্যাঁড়সে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। রক্তে থাকা এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃৎপিণ্ডের রোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমিয়ে আনে ঢ্যাঁড়স পানি। ঢ্যাঁড়সে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও কোয়েসোটিন শিরা-উপশিরায় চর্বি জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে রক্ত চলাচলে কোনো প্রকার বাধার সৃষ্টি হয় না। যে কারণে স্ট্রোকের পরিমাণও কমে আসে অনেকাংশেই।
ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে
যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করার কথা ভাবছেন, তাঁদের জন্য উপকারী হতে পারে ঢ্যাঁড়স পানি। ঢ্যাঁড়সে ক্যালরির তুলনায় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফাইবার পাকস্থলীতে গিয়ে জেলিজাতীয় পদার্থে পরিণত হয়। যে কারণে অল্প ঢ্যাঁড়স পানি খেলেও মনে হয় পেট ভরে গেছে। এতে করে যেমন অল্পতেই ক্ষুধা নিবারণ হয়, তেমনই খাওয়াদাওয়াও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়সে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (কোষ, প্রোটিন ও ডিএনএকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এই স্ট্রেস, যা দ্রুত বার্ধক্য আনে) ও শরীরের প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া ঢ্যাঁড়স পানি মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
কীভাবে তৈরি করবেন এই ঢ্যাঁড়স পানি?