তালিকাভুক্ত বহুজাতিক বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পর্ষদ সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর আগে কোম্পানিটি ৩৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। সব মিলিয়ে আলোচ্য হিসাব বছরে ৪৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বাটা সুর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৩১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সায়। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ১৬ জুলাই ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ মে।
ডিএসইতে গতকাল বাটা সুর শেয়ার সর্বশেষ ৯৬৯ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ৯৩০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ৩৬৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সুর পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে বাটা সুর ইপিএস হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ৫ টাকা ১ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫২ টাকা ১৬ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৫২ টাকা ৩৩ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়াহেল্ডারদের ২৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বাটা সু। এর আগে আলোচ্য হিসাব বছরের জন্য ৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন শেয়ারহোল্ডাররা। সে হিসাবে ২০২১ হিসাব বছরে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। ২০২০ হিসাব বছরে লোকসান হওয়ার কারণে বাটা সু শেয়ারহোল্ডারদের শুধু ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আগের হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন।
১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাটা সুর বর্তমান অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৩৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক বাফিন নেদারল্যান্ডস (বিভি), ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৯ দশমিক ১১ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।