চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি বেড়েছে ৭ শতাংশেরও বেশি। যদিও এ সময়ে কোম্পানিটিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। মূলত বিভিন্ন ধরনের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আগের বছরে মুনাফায় থাকলেও চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে কোম্পানিটির। সিঙ্গার বাংলাদেশের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি হয়েছে ৪০১ কোটি ৩০ লাখ, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৭৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির কর-পরবর্তী ২ কোটি ১২ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২১ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ১৩ পয়সায়। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৮২ পয়সায়।
কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, আগের বছরের তুলনায় চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে গ্রস প্রফিট মার্জিন কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এ সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা কমেছে ৪০ শতাংশ। আর্থিক ব্যয়ও বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে এসব ব্যয় বাড়ার প্রভাবে কোম্পানিকে লোকসান গুনতে হয়েছে।
সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২৪ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ৭৩ পয়সা। গত ৩ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩ পয়সায়, যা আগের হিসাব বছরে ছিল ২৯ টাকা ৯৭ পয়সা।
১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশের বর্তমানে অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৭৫, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৪৭ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল সিঙ্গার বাংলাদেশের শেয়ার সর্বশেষ ১৩৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।