বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এদের মধ্য স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। আবেদন গ্রহণ চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা।
যেভাবে আবেদন করা যাবে
অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবেদনকারীর বয়স—
আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪–এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।
পছন্দক্রম ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের—
প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তাঁর আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তাঁর পছন্দবহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাঁকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ।
যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।
কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাঁকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।
আবেদনের ফি
সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন।
বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।