গত এক বছর যাবত দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি বিনিয়োগ। বাজারে অব্যাহত মন্দার কারণে বিদেশিরা প্রতি মাসেই কেনার চেয়ে বেশি বিক্রি করছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের চড়া দামের কারণে বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। তবে ডলারের দাম স্থিতিশীল হলে তাঁদের বিনিয়োগ আবারও ফিরে আসবে।
এদিকে, দেশে ডলারের দাম স্থিতিশীলতার দিকে এগোচ্ছে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মার্চের শেষের দিক থেকে ডলারের দাম অনেক স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। এপ্রিল মাসে ডলারের দাম অনেক স্থিতিশীল হয়েছে।
শেয়ারবাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে তালিকাভুক্ত ১৬ কোম্পানিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ৭টিতে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও আমার স্টক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিনিয়োগ কমে যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো-বেক্সিমকো ফার্মা, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বিবিএস, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ডিবিএইচ, গ্রামীণফোন, অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ, ফু-ওয়াং ফুড, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, রেনেটা, তিতাস গ্যাস, স্কয়ার টেক্সটাইল ও স্কয়ার ফার্মা।
বেক্সিমকো ফার্মা : ২৯ ফেব্রুয়ারি বেক্সিমকো ফার্মায় বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২৮.৫২ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ২৮.১১ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.৪১ শতাংশ।
বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো : ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোতে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৬.০৫ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ৫.৭৯ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.২৬ শতাংশ।
বিবিএস : ২৯ ফেব্রুয়ারি বিডি বিবিএসে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ০.০৯ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ০.০৬ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০৩ শতাংশ।
বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম : ২৯ ফেব্রুয়ারি বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১.০৭ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ০.৭৩ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.৩৪ শতাংশ।
সিটি ব্যাংক : ২৯ ফেব্রুয়ারি সিটি ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪.৪৬ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ৪.৩১ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.১৫ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক : ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ব্যাংকে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৩.১৬ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.১৬ শতাংশ।
ডিবিএইচ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ডিবিএইচ-এ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১২.০৪ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ১১.৩৯ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.৬৫ শতাংশ।
গ্রামীণফোন : ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১.৪৪ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ১.২৬ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.১৮ শতাংশ।
অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজ : ২৯ ফেব্রুয়ারি অলিম্পিক ইন্ডাষ্ট্রিজে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২৪.৫০ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ২৪.২৩ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.২৭ শতাংশ।
ফু-ওয়াং ফুড : ২৯ ফেব্রুয়ারি ফু-ওয়াং ফুডে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ০.৩১ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ০.৩০ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০১ শতাংশ।
লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স : ২৯ ফেব্রুয়ারি লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ০.৬৩ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ০.৬২ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০১ শতাংশ।
মুন্নু ফেব্রিক্স : ২৯ ফেব্রুয়ারি মুন্নু ফেব্রিক্সে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১.৪৬ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ১.৩৭ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.১৮ শতাংশ।
রেনেটা : ২৯ ফেব্রুয়ারি রেনেটায় বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২২.৫৯ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ২২.৪১ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০৯ শতাংশ।
তিতাস গ্যাস : ২৯ ফেব্রুয়ারি তিতাস গ্যাসে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ০.১০ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ০.০৫ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০৫ শতাংশ।
স্কয়ার ফার্মা : ২৯ ফেব্রুয়ারি স্কয়ার ফার্মায় বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১৩.৯৭ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯৫ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.০২ শতাংশ।
স্কয়ার টেক্সটাইল : ২৯ ফেব্রুয়ারি স্কয়ার টেক্সটাইলে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ২.৯৪ শতাংশ। যা ৩১ মার্চ এসে দাঁড়িয়েছে ২.৭৫ শতাংশে। মার্চ মাসে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ০.১৯ শতাংশ।