পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের গত সপ্তাহে ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৯ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩২ টাকা, যা গতকাল ৩ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বা ২ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯২টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ২৬৮ বার হাতবদল হয়; যার বাজারদর ১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১৪ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস কমেছে ২৩ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা।
শেয়ার বিজ নিউজপুঁজিবাজার রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪.১২:০৮ পূর্বাহ্ণ 2 min read
0
প্রিন্ট করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের গত সপ্তাহে ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১৯ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ওইদিন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩২ টাকা, যা গতকাল ৩ এপ্রিল লেনদেন হয় ৪৫ টাকা ৩০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই। সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিশ পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বা ২ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯২টি শেয়ার মোট ৩ হাজার ২৬৮ বার হাতবদল হয়; যার বাজারদর ১৮ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৫ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১৪ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস কমেছে ২৩ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৯ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।
এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছিল ৩১ টাকা ৫৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ১ টাকা।
এদিকে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের চার দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ৩ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১১০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। এদিন কোম্পানিটির ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৫৮টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৩৭০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১২ টাকায় ওঠানামা করে। গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১১২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৪ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৪ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৪২ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।