২০১২ সালে ডায়াবেটিসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে লাগামছাড়া।
যদিও কিছু উন্নত দেশ এ বৃদ্ধির হারকে কিছুটা লাগাম পরাতে পেরেছে। আফ্রিকার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগী। বাংলাদেশের চিত্র মোটেও সুখকর নয়। আইডিএফের ২০২১ সালের সমীক্ষা মোতাবেক, পাকিস্তানের পর বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রোগীর হার সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিসের উচ্চঝুঁকির আরও বহুবিধ কারণের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশদূষণও জড়িত।
পানিদূষণ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি
পানিদূষণ ও ডায়াবেটিসের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে অনেক গবেষণা ও অনুসন্ধান হয়েছে। বিশেষত পানির গুণমানের অবনতি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিসের ওপর পানিদূষণের মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে কিছু তথ্য এখানে দেওয়া হলো—
পরিষ্কার পানির অভাব: পরিবেশে পরিচ্ছন্ন পানির অভাব বা দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
পানিতে উচ্চমাত্রায় কার্বনেটের উপস্থিতি: কৃত্রিম পানিতে অধিক পরিমাণে কার্বনেট থাকলে তা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
পানিতে জীবাণু বা কীটাণুর উপস্থিতি: পরিবেশে উচ্চমাত্রার জীবাণু বা কীটাণুর উপস্থিতি ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
পানিতে জৈব রাসায়নিক বা মেটালিক ধাতু: পানিতে উচ্চ মাত্রার জৈব রাসায়নিক বা মেটালিক ধাতুর উপস্থিতি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পানিদূষণ কমাতে হবে
জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মতো পরিবেশদূষণ কমানোর প্রচেষ্টাও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি। কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
জনসচেতনতা বাড়ানো: পরিবার ও সমাজের সদস্যদের মধ্যে পরিবেশদূষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনকানুন ও আদালতের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে হবে।
ব্যক্তিগত অঙ্গীকার: ব্যক্তিগত জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে আমাদের মাধ্যমে পানি দূষিত না হয়।
নিয়মিত পরিশোধন: পরিবেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মত পানি পরিশোধন করা জরুরি।
জনগণের সহযোগিতা: পরিবেশের দূষণ কমাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাইকে পরিবেশ সংরক্ষণে অঙ্গীকার করা দরকার।