বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ঘুমের ব্যাধি স্লিপ অ্যাপনিয়া। এ সমস্যায় ঘুমের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে। তবে সবচেয়ে সাধারণ রূপ অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় নাক ডাকাই সবচেয়ে বড় উপসর্গ। তাই নাক ডাকাকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
যাঁরা নাক ডাকেন, তাঁরা সঠিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারেন না, ফলে নাকে শব্দ হয়। শ্বাসপ্রশ্বাস ভারী হয়ে ওঠে ও মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়।
লক্ষণ
এসব লক্ষণের অনেকগুলো সাময়িকভাবে অন্যান্য সাধারণ কারণেও হতে পারে। যেমন ফ্লু বা সাধারণ ঠান্ডা। তবে যখন এগুলো স্থায়ী হয়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যাদের ঝুঁকি বেশি
স্থূলতায় চর্বি শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরনকে ব্যাহত করতে পারে এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। বয়সের সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে। সরু শ্বাসনালি, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘস্থায়ী সর্দি বা নাক বন্ধ, ধূমপান, ডায়াবেটিস, অ্যাডেনোকারসিনোমা, হাঁপানিতে স্লিপ অ্যাপনিয়ার প্রবণতা বেশি।
রোগনির্ণয়
অতিরিক্ত টিস্যু জমা বা কোনো অস্বাভাবিকতা বোঝার জন্য গলা, নাক ও মুখের পেছন দিকটা পরীক্ষা করতে হবে। রক্তচাপ মাপতে হবে। রোগের তীব্রতা ও অবস্থা নির্ধারণে ঘুমবিশেষজ্ঞ কিছু পরীক্ষাও করেন।
পলিসমনোগ্রাফি: এতে শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাসহ হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপ জানা যায়। পরীক্ষার সময় কারও কারও এয়ারওয়ে চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে। অন্যান্য ঘুমের ব্যাধির বিভিন্ন চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
হোম স্লিপ অ্যাপনিয়া পরীক্ষা: এটি পলিসমনোগ্রাফির হোম সংস্করণ এবং বায়ুপ্রবাহ, শ্বাসপ্রশ্বাসের ধরন ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করে। এটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়ার সঙ্গে নাক ডাকার মাত্রাও পরিমাপ করতে পারে। বাড়িতে এ পরীক্ষা করা যায়।
চিকিৎসা