শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সার্ভেইল্যান্স বিভাগের পরিচালকের দপ্তরে বিদ্যমান সংযোগ কোনো চক্রের মাধ্যমে নয়, বরং দাপ্তরিক প্রয়োজনেই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএসইসি এই বিষয়ে বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদনে তথ্য পাচারের যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ বিএসইসিকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সোমবার (০১ এপ্রিল) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পুঁজিবাজারে নজরদারি সফটওয়্যার: গোপন তথ্যভাণ্ডারে অবৈধ সংযোগ’ এবং ‘সার্ভেইল্যান্স অনিরাপদ হলে আস্থা হারাবে শেয়ারবাজার’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর ফলে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই, বিষয়টি স্পষ্ট করতে বক্তব্য দিয়েছে বিএসইসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পুঁজিবাজারে নজরদারি সফটওয়্যার: গোপন তথ্যভাণ্ডারে অবৈধ সংযোগ’ শীর্ষক শিরোনামের প্রতিবেদন এবং ১ এপ্রিল ‘সাভিইল্যান্স অনিরাপদ হলে আস্থা হারাবে শেয়ারবাজার’ শিরোনামের প্রতিবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বক্তব্য রয়েছে। কমিশনের সার্ভেইল্যান্স ডিপার্টমেন্ট পুঁজিবাজারে প্রতিদিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণ অথবা নজরদারি করে থাকে। দাপ্তরিক প্রয়োজনে অর্পিত দায়িত্বের কারণে বিএসইসির পরিচালক (সার্ভেইল্যান্স) কমিশনের সার্ভেইল্যান্স সংক্রান্ত ডাটা অথবা তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক কমিশনে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় রিপোর্ট উপস্থাপন কাজে নেতৃত্ব দেন।
পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সব তথ্য স্পর্শকাতর হওয়ায় অন্যান্য বিষয়ের মতো সার্ভেইল্যান্স ডিপার্টমেন্টের সব ডাটা অথবা তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা কমিশন কর্তৃক সার্বক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। বিএসইসির পরিচালকের (সার্ভেইল্যান্স) বিদ্যমান সংযোগটি কোনো চক্রের মাধ্যমে নয়, বরং দাপ্তরিক প্রয়োজনেই দেওয়া হয়েছে। এটা সুদীর্ঘকাল ধরে বলবৎ রয়েছে। তাই, সংশ্লিষ্ট সবাইকে উল্লিখিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রকাশিত সংবাদে তথ্য পাচার সংক্রান্ত যে বিষয়টি এসেছে, তা রহিত করার নিমিত্তে কোনো সুনিদিষ্ট তথ্য থাকলে প্রমাণসহ কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।