বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র অস্বাভাবিক সেল প্রেসার দিয়ে শেয়ারবাজারকে অস্থির করে তুলছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সবাই বিষয়টি জানে। কিন্তু কেউ কিছুই করতে পারছে না।
তাঁদের দাবি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার কয়েক কর্তার চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়েছে। বিপক্ষ পক্ষের লোকজনদের শক্তিমত্তা বেশি হওয়ায় তারা ধারাবাহিকভাবে শেয়ারবাজারে পতন ঘটাচ্ছে।
অন্যদিকে, কর্তাব্যক্তিদের চুক্তির পক্ষে যারা রয়েছেন, তাদের বাজার ধরে রাখাার দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নেই। তারা কেবল সুবিধাই নিয়েছেন, কিন্তু সাহায্য করার কোনো তৎপরতা তাদের নেই। যে কারণে বাজার ঠেকানোর কেউ নেই। প্রতিদিন বাড়ছে ফোর্স সেল। ফোর্স সেলের চাপে শেয়ারবাজারের এখন বেহাল দশা। রীতিমতো লন্ডভন্ড।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ছিল ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্ট। আজ বুধবার (২৭ মার্চ) লেনদেনশেষে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্ট। ফ্লোর প্রত্যাহারের পর সূচক কমেছে ৫৭৪ পয়েন্ট।
অন্যদিকে, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডিএসই’র সূচক ছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। আজ লেনদেনশেষে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্ট। এই সময়ে সূচক কমেছে ৬৮৫ পয়েন্ট।
বুধবারের বাজার পর্যালোচনা
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭১.৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১৪.৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৫২ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১২.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে ৫৩৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ১৮৭ কোটি টাকার বেশি।
আজ ডিএসইতে ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ৩২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৯৯ লাখ ৮১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি ২৮ লাখ ০১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
আজ সিএসইতে ২২৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের।
আগের দিন সিএসইতে ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার মধ্যে দর বেড়েছিল ৩৭টির, কমেছিল ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি প্রতিষ্ঠানের।