পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের করপোরেট পরিচালক মিনোরি বাংলাদেশ কোম্পানিটির ৩ কোটি ৫২ লাখ ২৫ হাজার ৪ শেয়ারের মধ্যে ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ডিএসইর ব্লক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ সভা আগামী বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হবে।
অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ পয়সা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে আগের পরিচালক বাদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ (৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীনসহ) লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচ্য হিসাব বছরে এমারাল্ড অয়েলের ইপিএস হয়েছে ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৭ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩৭ পয়সায়, আগের হিসাব বছরের ৩০ জুন শেষে যা ছিল ১২ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০২১-২২ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা পরিচালক বাদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে পর্ষদ।
২০১১ সালে স্পন্দন ব্র্যান্ডের রাইস ব্র্যান অয়েল (চালের কুঁড়ার তেল) উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে ব্যবসায় নেমেছিল এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। তিন বছরের মাথায় ২০১৪ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। এর এক বছরের মধ্যেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় জড়িয়ে পড়েন কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা। জামিন নিয়ে উদ্যোক্তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে ক্ষতির মুখে পড়েন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে এমারাল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ৬৭ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার ৩০ টাকা ১০ থেকে ১৮৮ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করেছে।