বেশ কিছুদিন যাবতদেশের শেয়ারবাজার টানা পতনে রয়েছে। যদিও এরমধ্যে সর্বশেষ ২ কর্মদিবস ভালো উত্থান হয়েছে। এর আগে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারের দাম কমেছে। যে কারণে গত ৩ সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি উধাও হয়ে গেছে ৬৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৫৪০ কোটি ৪ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও বা বিনিয়োগ কমেছে ৭ হাজার ৯৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১.০১ শতাংশ।
এর আগের দুই সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছে ৬১ হাজার ৮৮ কোটি ২ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের ৭ হাজার ৯৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা যোগ হয়ে মূলধন উধাওয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার কোটি টাকার বেশি
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৯৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮০৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বা ২৮.৯৫ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট বা ০.৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯৪১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বা ০.৩০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪১২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৩ টির বা ৩২.২৮ শতাংশের, কমেছে ২২৯ টির বা ৫৫.৫৮ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩ টির বা ৮.০১ শতাংশের।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ২ লাখ টাকার। সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৩ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬৯৩৭ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১২ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৪ টির দর বেড়েছে, ১৮৬ টির দর কমেছে এবং ২২ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।