অনেকেই রাতে ঘুমের মধ্যে অথবা সকালে বিছানা ছাড়তে গিয়ে হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান অনুভব করেন। আবার শরীরচর্চা করতে গেলেও এমনটা হতে পারে। মুহূর্তেই আক্রান্ত স্থানটিতে তীব্র ব্যথা দেখা দেয়। বেশ কিছুক্ষণ পা নড়াচড়া করা যায় না। এমনকি অনেকসময় পায়ে ম্যাসাজ করেও কাজ হয় না।
সারা দিনে যথেষ্ট পরিমাণে পানি খাওয়ার পরেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত রক্তে বিভিন্ন উপাদানের ঘাটতি থাকলে পেশি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের কাজ আটকে যেতে পারে। পায়ের পেশিতে ক্র্যাম্প বা টান সেই কারণেই হয়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম না থাকলে এই ধরনের সমস্যা হতেই পারে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সাধারণ কিছু খাবার রাখলেই এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
পেশিতে টান নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন
কলা: পেশির কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম থাকা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম না থাকলে পেশিতে টান ধরতেই পারে। এই খনিজের প্রাকৃতিক উৎস হল কলা। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে রোজ একটি করে কলা খাওয়া যেতে পারে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতেও যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। শরীরে এই খনিজের জোগান দিতে মিষ্টি আলু খাওয়া যেতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি আলু খাওয়ার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে।
শাক: পালং শাক, নটে শাক, পাতাকপির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। দেহের পেশি সচল রাখতে পটাশিয়ামের পাশাপাশি ম্যাগনেশিয়ামেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনের ডায়েটে এই ধরনের খাবার রাখা প্রয়োজন।
বাদাম এবং বীজ: ম্যাগনেশিয়ামের আরও কয়েকটি প্রাকৃতিক উৎস হল কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, কুমড়ো এবং সূর্যমুখী বীজ। পেশি সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে চাইলে,খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখতে পারেন।
টক দই : বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশিতে টান ধরা রুখতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের পাশাপাশি শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণও প্রয়োজন। টক দই বা ইয়োগার্টে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেশি। হাড়, স্নায়ু এবং পেশি সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে নিয়মিত এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।