বিটকয়েনের দাম গত এক মাসে ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে আজ প্রথমবারের মতো ডিজিটাল এই মুদ্রাটির দাম ৭০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন প্লাটফর্ম কয়েনবেস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বাংলাদেশি সময় বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রতিটি বিটকয়েন ৭০ হাজার ৬০০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতেও বিটকয়েনের দাম ছিলো ৪২ হাজার ২৪৮ ডলার। এই সময়ের মধ্যে বিটকয়েনের দাম বেড়েছে ২৮ হাজার ৩৫২ ডলার।
প্রথম স্পট বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। এর মাধ্যমে নতুন নতুন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যখন ইটিএফ ঘোষণা দেওয়ার পরে থেকে বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। তবে এই অনুমোদন খুব সহজে দেওয়া হয়নি। সেই ২০১৩ সাল থেকে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানিগুলো ইটিএফের মাধ্যমে বিটকয়েনে অনুমোদন লাভের চেষ্টা করছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি বিটকয়েনের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাবজনিত কারণে এত দিন অনুমোদন দেয়নি।
এরপর ২০২৩ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালতের নির্দেশে বলা হয়, এসইসি ভুল কারণ উল্লেখ করে গ্রেস্কেল ইনভেস্টমেন্টসের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। আদালত গ্রেস্কেলের পক্ষে রায় দিয়ে এসইসিকে তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল এ অনুমোদন দেয় এসইসি। গতকাল গ্রেস্কেলের পাশাপাশি আদালত এআরকে ইনভেস্টমেন্ট, ব্ল্যাকরক ও ফিডেলিটির আবেদন অনুমোদন করেন।
এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড বা ইটিএফ একধরনের বিনিয়োগ, যা সহজেই স্টক মার্কেটে লেনদেন করা যায়। একটি নির্দিষ্ট স্টক, পণ্য বা সিকিউরিটিসের সরাসরি মালিকানার পরিবর্তে বিনিয়োগকারীরা ইটিএফ কিনতে এবং ধরে রাখতে পারেন, যা আবার সম্পদমূল্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।
ইটিএফ বিটকয়েনের দাম পর্যবেক্ষণ করবে, ফলে যারা বিটকয়েনের দাম সম্পর্কে অনুমান করতে চায়, তারা বিটকয়েনের মালিকানা ছাড়াই তা করতে পারে।