দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আজ দিনভর ছিলো কারিগরি ত্রুটি। ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স রাতারাতি ৬ হাজার ১১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট থেকে ১৪১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে নেমে এসেছিলো। অবশেষে সূচকের সেই ত্রুটি দূর হয়েছে। এর ফলে বাস্তবে সূচক কত পয়েন্ট কমেছে তা জানা গেছে।
ডিএসই’র ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩৭ পয়েন্ট পতন হয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার।
এদিন ৮৪টি কোম্পনির শেয়ার মূল্য বেড়েছে। দর কমেছে ২৬১টি কোম্পানির শেয়ার এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারদর।
মূলত ডিএসইর ওয়েবসাইটে বড় ত্রুটি দেখা দিয়েছিলো। আর এর ফলে দিনের শুরু থেকেই ওয়েবসাইটটিতে সূচক সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুল তথ্য দেখাচ্ছিলো। সূচকের লেখিচত্র বা গ্রাফ হালনাগাদ হচ্ছিলো না। তাই সারাদিন ওয়েবসাইট থেকে বাজারের প্রকৃত অবস্থা জানা যায় নি। বরং বাজারের বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছিলো এই সূচক।
এদিকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষনে ২ সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। আগামী ৩ কার্যদিবসের মাঝে এ ত্রুটির কারণ পর্যবেক্ষন করে কমিটিকে তা জমা দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
রোববার (১০ মার্চ) বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায়, বিএসইসির উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. দস্তগির হোসেনকে কে ডিএসইর এই ত্রুটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।
এদিকে ডিএসই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ডিএসইর সূচকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই অস্বাভাবিক পরিসংখ্যানের জন্য দায়ী অপারেশনাল ত্রুটি।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নাসডাক এর সাথে জরুরি বৈঠক করে। একইসাথে ডিএসই প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) এ.জি.এম. সাত্বিক আহমেদ শাহ-কে প্রধান করে ৩ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।