পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মানুষের কষ্ট লাঘবে কম দামে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রোববার (১০ মার্চ) সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে ভ্রাম্যমাণ দুধ ডিম ও মাংস বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ এ বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান। তিনি বলেন, মানুষ ভাতের অভাবে, খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না, আমরা কষ্ট হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণমানুষের জন্য কাজ করছে। তার নেতৃত্বে আমরা আরও সমৃদ্ধশালী হব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
এদিকে মৎস্য অধিদপ্তরের তত্ত্ববধানে প্রথমবারের মতো আসন্ন রমজান মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪টি নির্ধারিত স্থানে মাছ বিক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
১২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসের ১৫ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রতিটি স্পটে অন্তত ৩০০ কেজি মাছ থাকবে। এরমধ্যে- ২৪০ টাকা কেজি দরে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ১০০ কেজি রুই, ৩০০ গ্রামের ১৩০ টাকা কেজি দরে ১০০ কেজি তেলাপিয়া, এক থেকে দেড় কেজির পাঙ্গাস ১৩০ টাকা দরে ৭৫ কেজি, ২০ পিসে ১ কেজি ওজনের পাবদা মাছ ২৫ কেজি বিক্রয় করা হবে। তবে চাহিদার নিরিখে মাছ বিক্রির পরিমান পরবর্তীতে বাড়ানো হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ কেজি মাছ ক্রয় করতে পারবেন।
যেসব স্থানে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন: ১. বঙ্গবন্ধু চত্বর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট; ২. মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ); ৩. সেগুন বাগিচা বাজার; ও ৪. মেরুল বাড্ডা বাজার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন: ১. মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার); ২. যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট); ৩. মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষিণ-পূর্ব কর্ণার) ও ৪. পলাশী মোড়-এ এই কর্মসূচি পরিচালিত হবে। প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত মাছ বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জনগণের কষ্ট লাঘবে বর্তমান সরকার সবসময় সচেষ্ট। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য যাতে সহনীয় থাকে সে লক্ষ্যে আমাদের এই পদক্ষেপ।