গত কয়েক বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা করতে পেরেছেন, এমন বিনিয়োগকারী খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। প্রতি সপ্তাহেই বিনিয়োগকারীরা লাভের আশায় বুক বাঁধেন, কিন্তু সপ্তাহশেষে তাদের লোকসানের পাল্লাই ভারি হয়।
তেমনি গেল সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সিংহভাগ বিনিয়োগকারীর লোকসান হয়েছে। এরমধ্যে ১৩ কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা অসহনীয় পর্যায়ে ভারি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কমে গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো-সেন্ট্রাল ফার্মা, এএফসি এগ্রো, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, মিথুন নিটিং, প্রাইম টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক্স, একটিভ ফাইন, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, কাট্টলী টেক্সটাইল, প্রাইম ফাইন্যান্স, অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ ও বিআইএফসি ফাইন্যান্স।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সপ্তাহেশেষে শেয়ার দাম কমেছে সেন্ট্রাল ফার্মার ১৯.৫২ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ১৬.৯০ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্সের ১৬.৩৯ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ১৫ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ১৪.৯১ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ১৩.৫২ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১৩.১৭ শতাংশ, একটিভ ফাইনের ১২.৭৬ শতাংশ, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ১২.৬৯ শতাংশ, কাট্টলী টেক্সটাইলের ১২.১৪ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১১.৪৬ শতাংশ, অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজের ১০.৮৮ শতাংশ এবং বিআইএফসি ফাইন্যান্সের ১০.৫৩ শতাংশ।
কোম্পানিগুলো মধ্যে এএফসি এগ্রো, ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স, মিথুন নিটিং, প্রাইম টেক্সটাইল, একটিভ ফাইন, প্রাইম ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি ফাইন্যান্স জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। যার ফলে কোম্পানিগুলো শেয়ারে বড় পতন নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ফার্মা, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যালিম্পিক অ্যাক্সেসরিজের শেয়ারের দাম দুই বছরের বেশি ডিভিডেন্ড না দেওয়ার কারণে জেড ক্যাটাগরিতে চলে যাবে, এমন ভিত্তিহীন গুজবে পতন হয়েছে।
অপরদিকে, বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোর ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হওয়ার কারণে সেল প্রেসারে পতন হয়েছে।
আর কাট্টলী টেক্সটাইলের শেয়ার দাম আগের সপ্তাহে বেড়েছিল, বিদায়ী সপ্তাহে সংশোধন হয়েছে।