বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর আমাদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা। এমন নারকীয় ঘটনা ‘৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিফলেট বিতরণ-পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির লিফলেট বিতরণের আয়োজন করে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য রফিক শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের নতুন সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ছাত্রদল নেতা মুঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, জকির উদ্দিন আবির, মামুন দেওয়ান, সাফি আহমেদ, শাহজাহান শাওন, তরিকুল ইসলাম তারিক, রঞ্জুসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জেলখানার অবস্থা তুলে ধরে মির্জ্জা আব্বাস বলেন, ১৫ বছরে বার বার জেলখানায় গেছি। এবারে করুন অবস্থা আমি বর্ণনা করতে পারবো না। এতো করুণ অবস্থা আমাদের নেতাকর্মীদের রাখা হয়েছিল। এবার নিপীড়ন অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে যেটা সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার এবং বাক স্বাধীনতার আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি, সাময়িকভাবে বাধা গ্রস্থ হতে পারে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই প্রথম থেকে একটা চক্রান্ত হচ্ছে একটা নকশা করে, একটা ডিজাইন করে , যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে।
মনোবল ঠিক রাখা ও নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারকে পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোন বিকল্প নাই। অনেক সহ্য করেছেন, আরো সহ্য করতে হবে। কতদিন? সেটা বলা সম্ভব না।
২৮ অক্টোবর আমাদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা এমন দাবি করে তিনি বলেন, এমন নারকীয় ঘটনা ‘৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল যুগে যুগে লড়াই করে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে। ছাত্রদল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, লড়াই করে যাবে। ইনশাআল্লাহ।
নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদল বদ্ধপরিকর। আগামী আন্দোলনে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।