গাজায় ত্রাণ পাঠানোর সুবিধার্থে সাইপ্রাস থেকে সমুদ্রপথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এই সপ্তাহেই, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানিয়েছে শুক্রবার।
শনিবার বা রবিবার সাইপ্রাস থেকে গাজায় সমুদ্রপথ উন্মুক্ত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন। খবর- বিবিসি
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, সাইপ্রাস থেকে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর সুবিধার্থে একটি অস্থায়ী বন্দর তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা করতেও অন্তত ৬০ দিন সময় লাগবে। এই বন্দরের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে খাদ্য, সুপেয় পানি, ওষুধ এবং অস্থায়ী বাসস্থান সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন জানিয়েছে, দিনে দুই মিলিয়ন মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করার আশা রাখে তারা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মাঝে গাজার সবচেয়ে নিকটবর্তী দেশ সাইপ্রাস। কয়েক মাস ধরেই তারা গাজায় ত্রাণ পাঠাতে এ সমুদ্রপথ ব্যবহারের কথা বলছে, কিন্তু নিরাপত্তা সমস্যা এবং গাজায় বন্দর না থাকায় তারা বেশিদূর আগাতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে গাজায় হামাসের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে গাজার সমুদ্রপথ বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
নিরাপত্তা ঝুঁকির অজুহাত দিয়ে গাজায় স্থলপথে ত্রাণ পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিভিন্নভাবে বাধ সাধছে ইসরায়েল। ফলে গাজার এক-চতুর্থাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছেন, না খেয়ে মারা যাচ্ছে শিশুরা। এদিকে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে ত্রাণের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। এসব কারণে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর বিকল্প পথ বের করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, এবং কতিপয় ইউরোপিয় দেশের একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় সমুদ্রপথে সরাসরি ত্রাণ পাঠানোর প্রক্রিয়াটি হবে জটিল। তবে এ দেশগুলো দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এছাড়া গাজায় স্থলপথে ত্রাণ পাঠানোর লক্ষ্যে ইসরায়েলের সাথে কাজ করবে তারা।