পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের অর্ধেকের বেশি আসনে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৬৫ আসনের মধ্যে ১৩৯টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫৫ আসনে জয় পেয়েছেন।
অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ পেয়েছে ৪৩টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৩৫ আসনে জয় পেয়েছে। ৬টিতে জয় পেয়েছে অন্যান্য। এখনো ১২৬ আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। স্থগিত রয়েছে একটি।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ভোট গণনা শুরু হলেও স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৬৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ১০৬টি আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া প্রথম দিকে যেসব প্রার্থী অনেক বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এখন শেষ দিকে দেখা যাচ্ছে তারা হেরে যাচ্ছেন।
নির্বাচনের ফলাফল ম্যানুপুলেটিং বা কারসাজি করা হচ্ছে কি না তা নিয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। যদি তাই হয় তবে সেটি হবে পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বড় তামাশা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের গণতন্ত্র, নষ্ট হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
ব্যাপক ধরপাকড়, অত্যাচার ও নিপীড়নের পরেও সবশেষ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা স্পষ্টভাবে এগিয়ে রয়েছেন।
ফলে অনেকেই মনে করছেন এবারের নির্বাচনে কেউ সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই জোট সরকার নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা