দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য টাঙ্গাইল তাঁত শাড়িকে জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল আডেন্টিফিকেশন) স্বত্ব পেতে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন করেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম।
এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসকের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব পাওয়া নিয়ে মত বিনিময় করেন তিনি।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে বণিক বার্তায় একটি খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। শিল্প সচিব তখন জানিয়েছিলেন বাংলাদেশী জিআই পণ্যের নিবন্ধন পাচ্ছে টাঙ্গাইল শাড়ি। তারপরই গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এ আবেদন করেন জেলা প্রশাসক ।
বণিক বার্তায় প্রকাশিত ওই খবরে বলা হয়েছে, গবেষকদের মতে, টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি বাংলাদেশে। এর নামের মধ্য দিয়েই তা উঠে এসেছে। ইতিহাসও টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশের বলে সাক্ষী দেয়। সে বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘যেকোনো স্থানের ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে সেখানকার সাংস্কৃতিক ইতিহাস গড়ে ওঠে। টাঙ্গাইল শাড়ির ইতিহাসটিও তাই। বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হওয়ায় টাঙ্গাইলের ছেলেরা পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে লুঙ্গি-গামছা। এ অঞ্চলের মেয়েরা পরিধান করে শাড়ি, যা টাঙ্গাইল শাড়ি হিসেবে পরিচিত হয়েছে। টাঙ্গাইল অঞ্চলটি যখন থেকে গড়ে ওঠে তখন থেকেই এ শাড়ি তৈরি শুরু হয়। এ শাড়ির নাম থেকেই এর উৎপত্তি বোঝা যায়।’