দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১০টি কোম্পানির শেয়ারপ্রতি কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। একই সময়ে ৭টি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো কমেছে এবং ১টি কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো অপরিবর্তিত রয়েছে। বাকি ৩টি কোম্পানি জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
যেসব কোম্পানিতে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে সেগুলো হলো- এএমসিএল প্রাণ, বিডি থাই ফুড, বিচ হ্যাচারি, এমারেন্ড অয়েল, ফাইন ফুড, গোল্ডেন হারভেস্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রহিমা ফুড, আরডি ফুড, শ্যামপুর সুগার এবং জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড।
এএমসিএল-প্রাণ
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে এপেক্স ফুডস লিমিটেডের। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫ টাকা ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪ টাকা ২৭ পয়সা।
বিডি থাই ফুড
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮১ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১০ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৭১ পয়সা।
বিচ হ্যাচারি
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ০৬ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ০২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ০৮ পয়সা।
এমারেন্ড অয়েল
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২১ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৭৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৫৬ পয়সা।
ফাইন ফুড
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ০৪ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ১২ পয়সা।
গোল্ডেন হারভেস্ট
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ০২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৩০ পয়সা।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৪২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ১০ পয়সা।
রহিমা ফুড
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৪৪ পয়সা।
আরডি ফুড
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৯ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ৫৬ পয়সা।
জিল বাংলা সুগার
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১৩ টাকা ৫২ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ১৮ টাকা ৪২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা।
শ্যামপুর সুগার
প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২৩) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৩১ টাকা ৯৪ পয়সায়। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল মাইনাস ৫৩ টাকা ০৩ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লোর অগ্রগতি হয়েছে ২১ টাকা ০৯ পয়সা।