দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। মঙ্গলবার সকালে দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল নীলফামারীর সৈয়দপুরে।
এখন পর্যন্ত এটিই চলতি শীত মৌসুমের সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে কমে হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দেশের দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছয় বিভাগে তাপমাত্রা আরও কমে শীত বাড়তে পারে, একই সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগে তাপমাত্রা বেড়ে শীত কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এসময়ে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ডে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধ এবং বৃহস্পতিবারও কুয়াশা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন,
বুধবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃহস্পতিবার সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
পরবর্তী পাঁচদিনে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।