1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন

লাগামছাড়া পেঁয়াজের বাজার, বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে ফের নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের বাজার। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারভেদে এই দাম একেক জায়গায় একেক রকম।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ধোলাইপাড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ২২০-২৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরে। দোকানভেদে দামের তারতম্য রয়েছে এই বাজারে।

শনিরআখড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দরে। তবে দু’একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা দরেও। সেখানেই ভিড় করছেন ক্রেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন মুদি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি।

ধোলাইপাড়ে বাজার করতে আসা সুমন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা পাবলিক কী খাবো? সব জিনিসের দাম এতো বেশি হলে আমরা চলবো কীভাবে। একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দিগুণ হয়ে গেলো, এগুলো দেখার কী আদৌ কেউ আছে? আমার তো তা মনে হয় না। বাজারে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই, আছে শুধু সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ।’

শনিরআখড়ায় বাজার করতে আসা আহমদুল্লাহ বলেন, দাম নিয়ে কথা বলে লাভ নাই। আমরা এগুলো দেখতে দেখতে আসছি। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কিনে খেতে পারলে খাবো, নইলে না খেয়ে থাকবো। আমাদের তো হাত-পা বাঁধা। কিছুই তো করার নেই আমাদের মতো পাবলিকের।

এতো বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রির কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যাবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, আসলে আমগো তো কিছু করার নাই। দাম এহন অনেক বেশি। পাইকারি রেটও অনেক বেশি চলতাছে, আমরা তো সীমিত লাভ করি। আমরাও তো চাই একটু কম দামে পেঁয়াজ বেচতে। মানুষ তো আমগো লগে চিল্লাচিল্লি করে, কিন্তু আমরা কি করুম কন?

যাত্রাবাড়ী আড়তের ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, ভারত পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করার খবর পাইয়া সাপ্লাই কইমা গেছে। এহন সাপ্লাই কমলে বাজারে তো দাম বাড়বই। আমরা আড়তে ২২০ টাকা দরে বেচাতাছি। যা মনে হইতাছে দাম আরও বাড়বো।

এদিকে, পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সারাদেশে এ অভিযানে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সরকারি এই তদারকি সংস্থাটি।

বর্তমানে ভারতের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ রুপির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

নিজেদের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মার্চ মাস পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকবে। এই নির্দেশনা শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে কোনো দেশের সরকারের অনুরোধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রপ্তানির সুযোগ দিতে পারবে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) আদেশে জানানো হয়েছে।

তবে এরই মধ্যে যারা পেঁয়াজ আমদানির এলসি চালু করেছেন, তাদের মধ্যে যারা আদেশ জারির আগেই পণ্য জাহাজিকরণ শুরু করেছেন, তারা এর আওতামুক্ত থাকবেন। এছাড়া শিপিং বিল দপ্তরে জমা দিলে এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজ বন্দরে ভিড়লে বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চালান অনুমোদন করতে পারবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সূচকের পতনে চলছে লেনদেন

  • ২০ নভেম্বর ২০২৪