মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল জামায়াত। বিষয়টি চিঠি দিয়ে ডিএমপিকে জানিয়েছিল দলটি। তবে শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করার লিখিত অনুমতি মেলেনি। এরপর শনিবার সকাল থেকে মতিঝিল এলাকায় জড়ো হতে থাকেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সকাল ৯টার দিকে দলটির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হন শাপলা চত্বরের দক্ষিণ পাশে। এসময় পুলিশ দলটির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়। তারা একটু দূরে গলিতে অবস্থান নেন। তবে কোনো পক্ষই মারমুখী আচরণ করেনি। বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই মূল সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় জামায়াতের নেতাকর্মীদের।
এরপর মূল সড়কে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যারিকেডের একপাশে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তারা যেতে চান শাপলা চত্বরে। বেলা ১১টা পর্যন্ত পুলিশ তাদের আটকে রাখে একপাশে।
এমন পরিস্থিতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল আরামবাগ আল হেলাল পুলিশ বক্সে আলোচনার জন্য প্রবেশ করেন। সেখানে ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার লিটন কুমার সাহার সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা।
কিছুক্ষণ পরে মোবারক হোসেন বের হয়ে জানান, পুলিশ আমাদের জায়গা পরিবর্তন করতে বলেছে। একই সঙ্গে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বলেছে। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছি না। আমরা সমাবেশ করবো, এটি তাদের জানিয়েছি। আমরা সমাবেশ করবো এবং সমাবেশ হবে। পুলিশ আমাদের জানাবে বলেছে।