অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ খরচ হবে সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাওয়া ১০ মেগা প্রকল্পে বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বিশাল এই উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও শিক্ষা খাতে।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, ‘অবকাঠামো ও সামাজিক খাতে দ্রুত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে সরকার পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে এডিপিতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করেছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প। প্রকল্পটি বরাদ্দ পেয়েছে ৯ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প (১ম সংশোষিত)। এই প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা।
প্রায় ৮ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪)।
প্রায় ৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
হযরত শাহজালার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ (১ম পর্যায়) প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
ফিজিক্যাল ফ্যাসিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট (পিএফডি) প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১) প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা
আর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) প্রকল্প বরাদ্দ পেয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।