দীর্ঘদিন ধরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখলেও সদ্যোবিদায়ি অর্থবছরে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ভিয়েতনাম।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত ভিয়েতনাম বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানি করেছে তিন হাজার কোটি ডলারের বেশি। আর বাংলাদেশ এ সময় রপ্তানি করেছে দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গত এক বছরে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ কোটি ডলারের বেশি আয় করেছে। বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, ভিয়েতনামে চায়নার বিনিয়োগ এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া গত জুন মাসে ভিয়েতনামের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) হয়েছে। এটি আগামী গ্রীষ্ম মৌসুম থেকে কার্যকর হবে।
তাঁরা বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের পোশাক রপ্তানির প্রতিযোগিতায় প্রায় কাছাকাছি ছিল। এ ছাড়া দুই দেশের কাজের দক্ষতা এবং পরিবেশগত প্রতিযোগিতাও ছিল বেশ ভিন্ন। বাংলাদেশ মূলত প্রতিযোগিতা করে কম দামে পোশাক রপ্তানি করে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যে পোশাক রপ্তানি করে। এ ছাড়া শক্তিশালী পশ্চাৎ শিল্প, দক্ষ শ্রমশক্তিও রয়েছে তাদের।
যদিও কভিড-১৯-এর ফলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম দুই দেশেরই রপ্তানি আয় কমেছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৮.১২ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনামের আয় কমেছে ৩.০৯ শতাংশ।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের শেষ মাস গত জুনে পোশাক রপ্তানি ১৮.১২ শতাংশ কম হয়েছে। মে মাসে কম ছিল ৬২ শতাংশ আর এপ্রিলে কম ছিল ৮৫ শতাংশ। এর আগের মাস মার্চেও ২০ শতাংশ কম ছিল। এই চার মাসে কভিড-১৯-এর বড় ধরনের প্রভাবে রপ্তানি কম হয়েছে।