1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৭ অপরাহ্ন

কারসাজিতে উড়ছে এক মিউচ্যুয়াল ফান্ড

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২২ মে, ২০২৩

শেয়ারবাজারে এক ব্যক্তির কারসাজিতে দীর্ঘদিন ফ্লোর প্রাইসে ঘুমানো একটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড উড়তে শুরু করেছে। যেখানে প্রায় সব মিউচ্যুয়াল ফান্ড ফ্লোর প্রাইসে ঘুমাচ্ছে, সেখানে হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই ফান্ডটি পর পর তিনদিন বিক্রেতা সংকটের কবলে পড়ার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফান্ডটি হলো সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়ালল ফান্ড। ফান্ডটির ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ফান্ডটির ইউনিট দর বাড়ার পেছনে কোনো কারণ নেই।

বাজার দর পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আজ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২২ মে) দিনের প্রথমভাগেই ফান্ডটির ইউনিট বিক্রি করার মতো কোনো বিনিয়োগকারী ছিল না। এর আগের দুই কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ও রোববারও ফান্ডটির ইউনিট লেনদেনের প্রথমভাগেই সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে উঠে বিক্রেতাশূন্য হয়ে যায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ মে) ফান্ডটির ক্লোজিং প্রাইস ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা। পরের দিন বৃহস্পতিবার ফান্ডটির ক্লোজিং প্রাইস বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১০ টাকা ৬০ পয়সায়। তার পরের কর্মদিসব রোববার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ঠিক হয় ১১ টাকা ৬০ পয়সায়। আজ সোমবার আরও ১০ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে স্থির হয় ১২ টাকা ৬০ পয়সায়। তিন দিনেই ফান্ডটির ইউনিট সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরেবিক্রেতাশূন্য হয়ে যায়।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মুন্নু সিরামিকের সাবেক এক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা, যিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ পদচ্যুত হয়েছিলেন, তিনি ফান্ডটির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পেছনে কলকাঠি নাড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি শেয়ারবাজারের অন্যতম কারসাজিকারি হিসাবে পরিচিত। বছর দুই আগে এই সিএপিএম আইবিবিএল ফান্ডটি নিয়ে তিনি আরও একবার কারসাজি করেছিলেন। তখন ফান্ডটির ইউনিট ১২ টাকার নিচ থেকে টানা উত্থান ঘটিযে ৩৫ টাকায় তোলেন। তারপর সেটি চড়া দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাঁধে চাপিয়ে সটকে পড়েন। এরপর দীর্ঘদিন ফান্ডটি পতনের ধারায় থেকে ৯ টাকা ৯০ পয়সায় ফ্লোর প্রাইসে বন্দী হয়। এই কাসরাজিকারির ছোঁয়ায় ফান্ডটির ইউনিট ফের উড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চলছে নানান গালগল্প।

জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে তৎকালীন মুন্নু স্ট্যাফলার (বর্তমানে মুন্নু এগ্রো) এবং মুন্নু সিরামিকের শেয়ার নিয়ে বড় কারসাজি হয়। সেই কারসাজির নৈপথ্য নায়ক ছিলেন তৎকালীন মুন্নু সিরামিকের এই প্রধান অর্থ কর্মকর্তা। এই দুই শেয়ারেরর কারসাজিতে যুক্ত হয়ে তিনি রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান। তারপর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অবৈধ অর্থ উপার্জন ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাকে চাকুরীচ্যুত করেন।

চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর তিনি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আমান ফিড লিমিটেডের উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দেন। তারপর আমান ফিডের শেয়ার ২৭ টাকা থেকে ৮০ টাকায় তোলেন। এই সময়ে শেয়ারটি ১৫০ টাকায় যাবে বলে নানা গুজব ছড়ানো হয়। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চড়া দরে শেয়ারটি কিনতে থাকেন। আর তিনি তার শেয়ার অফলোড করে নিরাপদে কেটে পড়েন। এরপর আমান ফিড আর ৮০ টাকার ঘর অতিক্রম করেনি। সেখান থেকেই পতনের ধারায় ফিরে আসে। এখন সেই শেয়ার ৩৩ টাকা ৩০ পয়সায় গত আট মাসের বেশি সময় যাবৎ ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

এই বিষয়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, এরপর তিনি নাহি অ্যালুমিনিয়াম, সোনারগাঁ টেক্সটাইল এবং সম্প্রতি অগ্নি সিস্টেম নিয়েও কারসাজি করেছেন। নাহি অ্যালুমিনিয়াম, সোনারগাঁ টেক্সটাইলের শেয়ার দীর্ঘদিন যাবৎ ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। আর অগ্নি সিস্টেম সম্প্রতি ২২ টাকা ৩০ টাকার ওপরে তুলে অফলোড করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তার ঘনিষ্ঠ লোকজনদেরও তিনি আমান ফিড ও সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, সোনারগাঁ টেক্সটাইলের শেয়ারে যুক্ত করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে সর্বশান্ত করেছেন। এখন তারা লোকসানের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।

শেয়ারবাজারে গুঞ্জন রয়েছে, শেয়ারবাজারের এই প্লেয়ার কিছুদিন আগে মুন্নু সিরামিক লিমিটেডের উপদেষ্টা হিসাবে যোগ দিয়েছেন। মুন্নু সিরামিকে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি মুন্নু এগ্রো ও মুন্নু সিরামিকের শেয়ার নিয়ে কারসাজি শুরু করেছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড কমিশনের (বিএসইসি) কাছে বিনিয়োগকারীরা অগ্নি সিস্টেম, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড, মুন্নু এগ্রো ও মুন্নু সিরামিকের শেয়ার লেনদেন একটি নিরপেক্ষ তদন্ত তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ