শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসি আগামী ২৪ মে, বুধবার চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২৩) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।
অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটির ৬টি সমুদ্রে মালবাহী জাহাজ সংগ্রহ করার ক্রয় প্রস্তাব একনেক সভায় চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এই দুই ইতিবাচক খবরে কোম্পানিটির শেয়ার দরে ও লেনদেনে বেশ তেজিভাব প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও আজ রোববার (২১ মে) কোম্পানিটির সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার লেনদেন হযেছে। বৃহস্পতিবার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭৬টি। আজ লেনদেন হয়েছে ৪২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯২টি। বৃহস্পতিবার ও আজ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশাল ব্যবধানে নিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে।
গত দুই দিন যাবত কোম্পানিটির শেয়ার দরেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দর ১৩২ টাকা ৫০ থেকে বেড়ে ১৩৫ টাকায় উঠেছে। আজ পতনের বাজারেও শেয়ারটির দর ১৩৫ থেকে বেড়ে ১৩৭ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছে। শেষ বেলায় শেয়ারটি ১৩৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় চীন থেকে প্রতিষ্ঠানটির ৪টি জাহাজ ক্রয় করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
অপরদিকে, পরিকল্পনা কমিশন প্রতিষ্ঠানটির জন্য আন্তর্জাতিক মানের আরও দুটি আধুনিক জাহাজ ক্রয় করার প্রস্তাব সুপারিশ করে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য তৈরি করেছে।
চীনা সরকারের অর্থায়নে এই ৬টি জাহাজের ক্রয় প্রস্তাব চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগির একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এই ৬ জাহাজের মধ্যে রয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি মাদার ট্যাংকার, ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার ও ৮০ হাজার টন ধারণক্ষমতার দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার।
বর্তমানে বিএসসির জাহাজের সংখ্যা ৮টি। এরমধ্যে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়ার যুক্ত হয় ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই, ১০ অক্টোবর ও ৩০ ডিসেম্বর। এছাড়া ৩টি প্রোডাক্ট ওয়েল ট্যাংকার যুক্ত হয় ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি, ১ মার্চ ও ২৫ মে।
এরপর আর নতুন কোনো জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হয়নি। নতুন চলমান প্রকল্পে ৬টি জাহাজ যুক্ত হলে বিএসসির মোট জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টিতে।
এদিকে, আগামী ২৪ মে, ২০২৩ প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য বোর্ড সভা আহ্বান করা হয়েছে। বাজারে গুঞ্জন রয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ৪ টাকার ওপরে আসবে। আগের বছর তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৩১ পয়সা।
অন্যদিকে, অর্থবছরের দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর’২২) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ৮ টাকা ৪১ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮ টাকা ২৮ পয়সা।
সর্বশেষ শেয়ারদর অনুযায়ি, প্রতিষ্ঠানটির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ৮.২০ পয়েন্টে। এটি শেয়ারবাজারে অন্যতম কম পিই’র শেয়ার।