প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৯ টি বিমা কোম্পানি ।
এপ্রিল মাসের বিভিন্ন কার্যদিবসে অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৯টি বিমা কোম্পানির মাঝে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানু,২৩-মার্চ,২৩) শেয়ার প্রতি আয় বা ইপিএস বেড়েছে ৬ টি কোম্পানির এবং ইপিএস কমেছে ৩ টি কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলোঃ এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মাঝে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে সবথেকে বেশি ইপিএস দিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। আলোচিত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ০৯ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ গতবছরের তুলনায় কোম্পানিটির এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৬ পয়সা।
এদিকে, আলোচিত বিমা কোম্পানিগুলোর মাঝে গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে সবথেকে বেশি ইপিএস বৃদ্ধির হার কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ৫০ পয়সা।
এছাড়াও কোম্পানিগুলোর মাঝে সর্বনিম্ন ইপিএস দিয়েছে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ৩৬ পয়সা আয় হয়েছিল। গতবছরের তুলনায় কোম্পানিটির এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ৬ পয়সা।
অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানু,২৩-মার্চ,২৩) আয় কমে যাওয়া তিনটি বিমা কোম্পানির মাঝে সবথেকে বেশি আয় কমেছে জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৭৩ পয়সা। অর্থাৎ গতবছরের তুলনায় কোম্পানিটির এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় কমেছে ৪৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৩৪ পয়সা।
এক নজরে ৯ টি কোম্পানির প্রথম প্রান্তিক:
কোম্পানির নাম | ইপিএস ২০২৩ | ইপিএস ২০২২ | ইপিএস বৃদ্ধির হার | ইপিএস হ্রাসের হার |
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড | ১ টাকা ১৫ পয়সা | ১ টাকা ০৯ পয়সা | ৫.৫% | — |
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড | ৭৫ পয়সা | ১ টাকা ১১ পয়সা | — | ৩২.৪৩% |
নর্দার্ণ ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড | ৬৯ পয়সা | ৬৫ পয়সা | ৬.১৫% | — |
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড | ৬৫ পয়সা | ৬৪ পয়সা | ১.৫৬% | — |
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড | ৫৬ পয়সা | ৫০ পয়সা | ১২% | — |
পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড | ৫২ পয়সা | ৫৮ পয়সা | — | ১০.৩৪% |
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড | ৪৮ পয়সা | ৪৬ পয়সা | ৪.৩৪% | — |
জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড | ৩৯ পয়সা | ৭৩ পয়সা | — | ৪৬.৫৭% |
তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড | ৩৭ পয়সা | ৩৬ পয়সা | ২.৭৭% | — |