1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে ‘ইজারা সুকুক’

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১ মে, ২০২৩
sukuk

‘সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো শরিয়াহভিত্তিক সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি ৮ হাজার কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক (ইজারা সুকুক)’এখন থেকে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হবে। এতদিন এ সুকুক শুধু অভিহিত মূল্যে (ফেস ভ্যালু) ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ছিল। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরিয়াহভিত্তিক ৮ হাজার কোটি টাকার ৫ বছর মেয়াদি সরকার বিনিয়োগ সুকুক (ইজারা সুকুক) ইস্যু করা হয়, যা শুধু অভিহিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়যোগ্য ছিল। বর্তমানে প্রসপেক্টাসে বর্ণিত শর্ত অনুসারে ওই প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ বাস্তবায়ন হওয়ায় সুকুকটি সম্মত মূল্যে সেকেন্ডারি মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চার হাজার কোটি টাকা করে দুই দফায় বিনিয়োগকারীদের কাছে সুকুকের সার্টিফিকেট বিক্রি করার কথা ছিল, যার বিপরীতে তারা মুনাফা পাবেন। ইসলামি এ বন্ডের (সুকুক) টাকা ‘সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প’ বাস্তবায়নে অর্থায়ন করা হবে।

জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সারাদেশে পানি সরবরাহ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে আট হাজার ৮৫১ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের টাকায় গড়ে ওঠা এ প্রকল্প থেকে পানি কিনবে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ হারে মুনাফা পাবে। প্রকল্প শেষে বিনিয়োগকারীদের মূল টাকা ফেরত দেয়া হবে। অন্য সব সরকারি বন্ডের মতো সুকুক বন্ডের বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এসএলআর সংরক্ষণ করা যাবে।

শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি বন্ড সাধারণত ‘সুকুক’ নামে পরিচিত। সুকুক একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে সিলমোহর লাগিয়ে কাউকে অধিকার ও দায়িত্ব দেয়ার আইনি দলিল। এখন থেকে সুকুক হবে সরকারের অর্থ সংগ্রহের নতুন একটি উৎস, যে অর্থ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হবে।

এর আগে প্রথম ধাপে এ প্রকল্পের জন্য চার হাজার কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের (ফেস ভ্যালু) ইজারা সুকুক ইস্যু করা হয়েছিল ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

প্রচলিত বন্ড ও সুকুক বন্ডের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিই হচ্ছে বন্ড। এতে ঋণের পরিমাণ, পরিশোধের সময় ও সুদের হার উল্লেখ থাকে। প্রচলিত বন্ডে সুদ, ফাটকা প্রভৃতি থাকায় তা শরিয়াহসম্মত নয়। সুকুক হচ্ছে এমন একটি বিনিয়োগ সনদ, যাতে সম্পদের ওপর মালিকানা দেয়ার নিশ্চয়তা থাকে। সাধারণত সুকুকধারীরা সম্পদের মালিকানা লাভ করেন এবং মুনাফা পান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ