দীর্ঘদিন মন্দা ও তারল্য সংকট কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে শেয়ারবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রচেষ্টায়ই বাজারে তারল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তারল্য বৃদ্ধির কারণে বাজার ক্রমাগত উর্ধ্বমূখী হচ্ছে। শেয়ারবাজারের এমন স্বাভাকি অবস্থা চলমান থাকলে ফ্লোর প্রাইস বিনিয়োগকারীদের কাছে কোন প্রকার সমস্যাই হিসেবে সামনে আসবেনা বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।
তবে আজ বাজারে কিছুটা শেয়ার বিক্রির চাপ থাকার কারণে গত দিনের মতো উর্ধ্বমূখী সেই ক্রেজ ছিল না। এই বিষয়ে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ফ্লোরে আটকে থাকার কারণে অনেকেই নিজের শেয়ার বিক্রি করে অন্যকোন শেয়ারে এন্ট্রি নিতে পারেনি। গতকাল ও আজ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের উপরে উঠার কারণে আজ কিছু বিনিয়োগকারী নিজের শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ারে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করছেন। অনেকে আবার অপেক্ষায় রয়েছে নতুন করে কোন শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য। যার কারণে আজ বাজারে কিছুটা ক্রেজ কম ছিল গত দিনের তুলোনায়।
সোমবারের শেয়ারবাজার পর্যালোচনা:
আজ ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০০ টির, দর কমেছে ৬৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৮ টির। ডিএসইতে ৭২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬৫ কোটি ২ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৩০ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৭৫ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৮টির এবং ৮৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৬ কোটি ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।