এবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে বন্যা হয়েছে। এর সঙ্গে দেশের সব অঞ্চলেই বৃষ্টিও হয়েছে অনেক। বন্যা ও বৃষ্টিতে মরিচের খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে রান্নার অপরিহার্য এ পণ্যটির দামও ব্যাপক চড়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২০০-২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খেতে পানি জমে মরিচ গাছ পচে যাওয়ার কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমেছে। যার ফলে দাম বেড়ে গেছে মরিচের।
বাজারের এক কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বলেন, বন্যা আর বৃষ্টি মরিচের খেত নষ্ট করে ফেলেছে। প্রায় সব অঞ্চলেই মরিচের খেতে পানি জমে গাছ পচে গেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। আর সরবরাহ কমলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সুত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৫০-৫৫ টাকা বিক্রি করছেন। খিলগাঁও ও শান্তিনগর বাজারে ৬০ টাকা পোয়া মরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মরিচের এই দামের বিষয়ে রামপুরা বাজারেরে সবজি ব্যবসায়ী বলেন, আড়তে এখন মরিচের আকাল। ঢাকায় যে কাঁচা মরিচ আসে তার একটা বড় অংশ আসে মানিকগঞ্জ থেকে। শুনছি মানিকগঞ্জের প্রায় সব মরিচের খেতে পানি জমে খেতের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় প্রায় সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। মরিচের গাছ পচে গলে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে মরিচের দাম বেড়েছে।
শান্তিনগর বাজারের মরিচ ক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, বাজারে বেশ অনেক দিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম বেশি। ঈদের আগে ৪০ টাকা পোয়া কাঁচা মরিচ কেনা গেলেও এখন ৬০ টাকা পোয়া কিনতে হচ্ছে। কাঁচা মরিচ এমন একটি পণ্য, রান্না করতে গেলে লাগবেই। ফলে দাম যতই হোক মানুষ কাঁচা মরিচ কিনবেই।
তিনি বলেন, আগে দেখেছি টানা বৃষ্টি হলে কাঁচা মরিচের দাম কিছুদিনের জন্য বেড়ে যেত। বৃষ্টির শেষে আবার দাম কমে যেত। এবার সেই চিত্র নেই। ঈদের পর থেকে ঢাকায় তেমন বেশি বৃষ্টি হচ্ছে না। এরপরও মরিচের দাম কমছে না। সে কারণে বাধ্য হয়ে কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ মিশিয়ে রান্না করছি।