1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন

সুবিধা করতে পারছে না বিডিকম

  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩
bd-com

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের শেয়ার বাজারে কারসাজি করছে আলোচিত এক বিনিয়োগকারী। ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ার কারণে যেখানে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোরে আটকে ছিল, ঠিক সেই সময়েও বিডিকমের শেয়ারদর ছিল ফ্লোর প্রাইসের অনেক উপরে।

কিন্তু হঠাৎ করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৬৮টি কোম্পানির শেয়ারদর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে দেয় এবং এই কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ ঠিক রাখলেও শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ বেধে দিয়েছে।

এই ১৬৮ট কোম্পানির মধ্যে যে সকল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে মন্দা বাজারে কারসাজি চলছিল, সেই কোম্পানিরগুলোর কারসাজি চক্র এখন অসুবিধায় পরেছে। কারণ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে হারে প্রভাব রাখা যায় অর্থাৎ ১০ শতাংশ পযন্ত বৃদ্ধি করা যায়, কিন্তু সেই হারে শেয়ারদর কমানো যায় না।

এই একই ট্যাফে পরে কোন রকম সুবিধা করতে পারছে না বিডিকম অনলাইন লিমিটেড। বাজারে খবর রয়েছে কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে আলোচিত এক বিনিয়োগকারী। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের কারণে এই শেয়ারটি নিয়ে তেমন কোন সুবিধা না করতে পারায় ক্রমাগতই কমে চলেছে শেয়ারদর।

কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয়েছিল ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়। আর ফ্লোর প্রাইস যেদিন প্রত্যাহার হয়েছিল সেদিন ক্লোজিং প্রাইস ছিল ৩৫ টাকা ১০ পয়সায়। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে নামে ৩৩ টাকা ৪০ পয়সায়। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারদর টানা বেড়ে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে।

কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ারদর যে হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে, সে একই হারে কমাতে না পারায় বিডিকম অনলাইনের শেয়ার নিয়ে সুবিধা করতে পারছে না সেই কারসাজি চক্র। কারণ একটি কোম্পানির শেয়ার বড় আকারে ক্রয় করলে, বাজারে শেয়ারের সংকট তৈরী হয়। আর সংকট তৈরী হলে শেয়ারদর সার্কেট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়। এতে করে হুজুগে থাকা বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

আর সেই সুযোগেই কারাসজি চক্র নিজেদের কোডে থাকা শেয়ার বিক্রি করে। আর সেখান থেকেই কারসাজি চক্র মুনাফা তুলে। আবার সেল প্রেসার দিয়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে শেয়ার লেনদেন হয়। এভাবে সেল প্রেসারের ফলে টানা কয়েকদিন এসব কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতাই থাকে না। আর একপর্যায়ে সেই কারসাজি চক্র কম দরে শেয়ার ক্রয় করে, আবারও শেয়ারদর বাড়ানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু শেয়ারদর কমার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ বেধে দেওয়ার কারণে বিডিকমের শেয়ার নিয়ে কারসাজি চক্র আগের মতো সুবিধা করতে পারে না। যার কারণে বিডিকমের শেয়ার নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে আলোচিত সেই বিনয়োগকারী।

সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর’২২) শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ২৮ পয়সায়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিডিকমের শেয়ার ক্লোজিং হয়েছে ৪৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ