পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএস স্টিলের পরিচালনা পর্ষদে বছর না শেষ হতেই আবারও অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এর আগে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি কোম্পানিটি অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি করা হয়। এখন কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ তা আরও বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) পর্ষদ সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ২৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং শেয়ার সংখ্যা ২৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার।
নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের পর্ষদ সভা করার আগে স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ঘোষণা দিতে হয়, যা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের প্রকাশিত তথ্যে ১০ আগস্ট এসএস স্টিলের পর্ষদ সভা সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত ৪ আগস্ট এসএস স্টিল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় তারা চট্টগ্রামে অবস্থিত সালেহ স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনবে। এ জন্য প্রথম পর্যায়ে এসএস স্টিল ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে। পরবর্তীতে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আরও ১৩৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। এ-সংক্রান্ত ঘোষণায় বলা হয়, এসএস স্টিল নিজস্ব অর্থায়ন এবং পরিচালকদের শেয়ার মানি ডিপোজিট থেকে সালেহ স্টিলে বিনিয়োগ করবে।
কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের এই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের আগেই বড় মূলধনী এই কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২৯ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম টানা বাড়ছে। ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১০ টাকা ৩০ পয়সা। যা টানা বেড়ে সোমবার লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সাত কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
এই দাম বাড়ার বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, এসএস স্টিল ৪ আগস্ট নতুন বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। কিন্তু কোম্পানিটির শেয়ার দাম তার আগে থেকেই বাড়ছে। এখন আবার পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ-সংক্রান্ত পর্ষদ সভার ঘোষণা ডিএসইর মাধ্যমে পাইনি।
তিনি বলেন, কোম্পানিটির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য এবং শেয়ারের দাম বাড়ার চিত্র সন্দেহজনক। কোম্পানি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কোনো চক্র আগেই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য পেয়ে গেছে কিনা তা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।