দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (১০ আগস্ট) বিরল ঘটনা ঘটেছে। এদিন ডিএসইর মূল্যসূচক কমলেও বাজার মূলধন বেড়েছে। যা সচারচর দেখা যায় না।
সাধারণত মূল্যসূচকের পতনের হলে বাজার মূলধনও কমে এবং সূচকের উত্থানের সঙ্গে বাজার মূলধনও বাড়ে। কিন্তু সোমবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন ডিএসইর মূল্যসূচক কমলেও বাজার মূলধন বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। যা সচারচর হয় না।
গতকাল সার্বিক কোম্পানি বিবেচনায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১২ পয়েন্ট। তারপরেও দিন শেষে সব কোম্পানির একত্রে মোট দাম বা বাজার মূলধন বেড়েছে ২৮২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার।
দেখা গেছে, ডিএসইএক্স সূচকটি বোববারের ৪৫৪৫.১৫ থেকে কমে সোমবার লেনদেন শেষে দাড়াঁয় ৪৫৩৩.০৬ পয়েন্টে। বিপরীতে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বাজার মূলধন বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকায়।
ফ্রি ফ্লোট (স্বাভাবিকভাবে বিক্রিযোগ্য) শেয়ারের ভিত্তিতে সূচক গণনায় এমন ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটার সুযোগ রয়েছে। যেমন গ্রামীণফোন পুঁজিবাজারে একটি বড় কোম্পানি। ১৬৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ার মাত্র ১০ শতাংশ। সূচক গণনায় এই ১০ শতাংশ শেয়ারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। তবে বাজার মূলধনে শতভাগ শেয়ারকে গণনায় নেওয়া হয়। যে কারনে সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধনের ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটার সুযোগ রয়েছে।
উদাহরনস্বরূপ- গ্রামীণফোনের ১০ শতাংশ উত্থানের বিপরীতে কয়েকটি ছোট ছোট কোম্পানিরও ১০ শতাংশ দর পতন ঘটল। যেগুলোর ফ্রি ফ্লোট শেয়ার একত্রে গ্রামীণফোনের থেকে বেশি। এতে করে সূচক কমবে। কিন্তু ওই কোম্পানিগুলোর মোট শেয়ারের পরিমাণ যদি গ্রামীণফোনের থেকে কম হয়, তখন সূচক কমলেও বাজার মূলধন বাড়বে। যেমনটি ঘটেছে সোমবার। ওইদিন ২১৭ কোম্পানির দর পতন এবং ১১১ কোম্পানির উত্থান সত্ত্বেও বাজার মূলধন বেড়েছে।