ওয়ালটনের ‘মিলিয়নিয়ার ও অসংখ্য লাখপতি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে । এর আওতায় এবারের কোরবানির ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। ফলে বরাবরের মতো এই ঈদেও ফ্রিজ বিক্রিতে শীর্ষে ওয়ালটন।
ফ্রিজসহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি এবং ব্যাপক গ্রাহকচাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়ল ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের। এর আওতায় ক্রেতাদের জন্য থাকছে মিলিয়নিয়ার এবং লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা এ সুযোগ পাচ্ছেন। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের এসব সুবিধা থাকছে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, অনলাইনে বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এখন চলছে সিজন ৭। এর আওতায় ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সিজন ৭-এ ইতোমধ্যে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার ও লাখপতি হয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। মিলিয়নিয়ারদের মধ্যে কয়েকজন হচ্ছেন—গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক, রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রণজিত চন্দ্র রায়, রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলের গৃহিণী সুফিয়া খাতুন, চট্টগ্রামের মাছচাষি নাজিম উদ্দিন, কুমিল্লার লাকসামের ইউনুস মিয়া, মৌলভীবাজারের গৃহিণী গয়না বেগম, পাবনার চাটমোহরে সোহেল রানা এবং ঠাকুরগাঁওয়ের মো. জহিরুল ইসলাম। এছাড়া, ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতারা পেয়েছেন কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান মল্লিক বলেছেন, ‘এবারের কোরবানির ঈদে ফ্রিজ বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ফলে, করোনা দুর্যোগের মধ্যেও ঈদে দেশের সর্বত্র ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে। ক্যাম্পেইনের প্রতি ক্রেতাদের বিশেষ আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঈদের পরেও মিলিয়নিয়ার ক্যাম্পেইন চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারা দেশে ওয়ালটনের বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে ক্রেতাদের হাতে উন্নত মানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে বদ্ধপরিকর ওয়ালটন। তাই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি ফ্রিজে ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি, ৫ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সেবা, দেশব্যাপী বিস্তৃত ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা এবং সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, স্থানীয় বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম ১০ হাজার ৯৯০ থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই‘র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত ডিজিটাল ডিসপ্লে-সমৃদ্ধ সাশ্রয়ী মূল্যের ফ্রিজ। ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজি-সমৃদ্ধ থ্যালেটমুক্ত গ্যাসকেট, হানড্রেড পার্সেন্ট কপার কনডেনসার, ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন। ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। নগদ মূল্যের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ আছে।
সম্প্রতি কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে এই প্রথম এ প্রযুক্তির ফ্রিজার বাজারে এলো। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করেছে ওয়ালটন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং।
ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিক মানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
ওয়ালটন হোম অ্যাপ্লায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আল ইমরান জানান, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের ১৩ মডেলের সেমি অটোমেটিক এবং অটোমেটিক টপ এবং ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন। ব্যাপক বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসব মেশিনের দাম ৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত মোটর ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।
এছাড়া, ওয়ালটনের রয়েছে ৯ মডেলের মাইক্রোওয়েভ ওভেন। দাম ৬ হাজার ৯৯০ থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে।