পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে । ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৮ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৯ টাকা ৮৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল তিন টাকা। আগের বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাংক ডিপোজিটের পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহ বেড়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।
সম্প্রতি সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সহযোগী কোম্পানি গঠন করবে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাইসেন্সের জন্য বাংলাদেশে ব্যাংকে আবেদন করবে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পাওয়ার পর কোম্পানি প্রতিষ্ঠার যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০০৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ৫৯ লাখ ছয় হাজার ৮৬১টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের ৫১ দশমিক ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানিক ৩৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৮ সালেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় মোট মুনাফা করে ২২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা তার আগের বছর ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ এবং মুনাফা হয়েছিল ২১১ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৩২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ ছিল ২০ টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৭৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় যা ছিল ৭১ পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর তিন দশমিক ০১ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা।