1. [email protected] : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ার সংবাদ প্রতিবেদক
  2. [email protected] : শেয়ারসংবাদ.কম : শেয়ারসংবাদ.কম
  3. [email protected] : Zahir Islam : Zahir Islam
  4. [email protected] : muzahid : muzahid
  5. [email protected] : nayan : nayan
  6. [email protected] : khadija : khadija khadija
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন

ঝুঁকিতে তিতাস গ্যাসের ২৯৭ কোটি টাকা

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২

বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, হায়ার হিটিং ভ্যালু (এইচএইচভি) ও দেরিতে বিল প্রদানের শাস্তিস্বরুপ সদু হিসাবে ২৯৭ কোটি টাকা আয় ও সম্পদ দেখিয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ও রাষ্ট্রায়াত্ত্ব কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই অর্থ প্রদানে গ্রাহকরা অনীহা। যা আদায় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

তিতাস গ্যাসের ২০২১-২২ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, দেরিতে বিল প্রদানের কারনে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের উপরে শাস্তি হিসেবে ৮০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার সুদ গণনা করেছে। এছাড়া মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ হিসেবে পিডিবির কাছে ১৬৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা ও ইজিসিবির কাছে ১৪ কোটি ৯ লাখ টাকা আর্থিক হিসাবে পাওনা দেখিয়েছে। এছাড়া প্রাইভেট পাওয়ার গ্রাহকের কাছে হায়ার হিটিং ভ্যালু (এইচএইচভি) হিসাবে ৩৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছে। কোম্পানিটি ২০০২ সাল থেকে এই আয় ও গ্রাহকের কাছে টাকা পাওনা হিসেবে আর্থিক হিসাবে দেখিয়ে আসছে।

কিন্তু ওই ২৯৭ কোটি ৭ লাখ টাকার মধ্যে থেকে কোন অর্থ আদায় হয়নি বলে নিরীক্ষক জানিয়েছেন। এছাড়া নিরীক্ষককে ওইসব গ্রাহকরা শাস্তির সুদ, মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ ও এইচএইচভির টাকা প্রদানে অনাগ্রহের কথা জানিয়েছেন। যা আদায় নিয়ে নিরীক্ষক সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং ওই পাওনা পুরো অর্থের উপর সঞ্চিতি গঠনের কথা বলেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ পদ্মা ব্যাংকে (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) ৫৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা এফডিআর করেছে। কিন্তু ব্যাংক দুটির দূর্বল অবস্থার কারনে ওই টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যাতে করে সঞ্চিতি গঠন করা উচিত। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এতে করে মুনাফা ও সম্পদ বেশি দেখানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন…..
ইউনিয়ন-গ্লোবালে বিনিয়োগকারীদের নেই ৭২ কোটি টাকা, অপেক্ষায় মিডল্যান্ড ব্যাংক

তিতাস কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ২০৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার মজুদ পণ্য (ইনভেন্টরি) দেখিয়েছে। কিন্তু স্বশরীরে যাচাইয়ে এরমধ্যে অনেক নিস্ক্রিয় ও অকেজো আইটেম পেয়েছে নিরীক্ষক। যার মূল্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নির্ধারন করেনি। এর মাধ্যমে তারা মজুদ পণ্যের পরিমাণ বেশি দেখিয়েছে।

এদিকে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) (এফআরসি) ২০২০ সালের ২ মার্চের এক নির্দেশনায় শেয়ার মানি ডিপোজিটকে অফেরতযোগ্য ও ৬ মাসের মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গণনায় বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। তবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এফআরসির এই নির্দেশনা মানছে না।

তিতাস গ্যাস সরকারের কাছ থেকে ৫২ কোটি ১৮ লাখ টাকার ইক্যুইটি সংগ্রহ করেছে। যা শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই কোম্পানিটির চলতি বছরের ৩০ জুন শেয়ার মানি ডিপোজিটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকায়। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এই শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করেনি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া রাষ্ট্রীয় তিতাস গ্যাসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৯৮৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) তিতাস গ্যাসের শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪০.৯০ টাকায়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ